হাবিবুর রহমান ভাই, টঙ্গীবাজারের একজন ক্ষুদ্র ব্যাবসায়ী। মুখ বাঁকা (Bell’s Palsy) সমস্যা নিয়ে আমাদের কাছে আসেন বেশ কয়েক মাস আগে। হঠাৎ মুখ বেঁকে যাওয়ায় আমাদের একজন রোগির ও নিউরোলজিস্টের পরামর্শে আমাদের কাছে আসেন। এরপর আমাদের Saiful Islam স্যারের এসেসমেন্টে আমরা উনার Cranial 7/Facial Nerve এ সমস্যা পাই। ফলে উনার বাম পাশের Facial Muscle গুলো ঠিকভাবে মুভমেন্ট করতো না।
এসেসমেন্ট এর পর Raju Ahmed এবং আমি উনার রিহ্যাবিলিটেশন এর দায়িত্ব নিলাম।
প্রথম দিকে উনার চিকিৎসা করতে গিয়ে বেশ হতাশ হয়ে পড়ি, কেননা দীর্ঘদিন ট্রিটমেন্ট করার পরেও উনার আশানুরূপ উন্নতি হয়নি। মুখ বাকা বোঝা যাওয়ার কারণে উনি ঠিকমতো কারো সামনে হাসতে চাইতেন না। হীনমন্যতায় ও ডিপ্রেশনে ভুগতেন।
প্রায় দু মাস পার হয়ে গেলেও উনার মুখ বাঁকার ভাল উন্নতি হচ্ছিলো না। তার পরেও তিনি আমাদের উপর আস্থা রেখে চিকিৎসা চালিয়ে যান।
আমরা উনাকে PNF, Active Strenthening, Resisted Strenthening, Electrical Stimulation ইত্যাদির মাধ্যমে চিকিৎসা দিতে থাকি, এছাড়াও উনাকে বাসায় কিছু এক্সারসাইজ প্র্যাকটিস করতে বলি।
আল্লাহর রহমতে আমরা দীর্ঘ ৩মাসের বেশি চেস্টা করার পর ধীরে ধীরে উনার Facial Muscle কাজ করা শুরু করে।
আজ প্রায় ৪ মাস পর আমরা উনার মুখে স্বস্তির হাসি ফিরিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছি। আমার দেখা অন্যতম চ্যালেঞ্জিং একটা কন্ডিশনের রোগি হাবিব ভাই। যদি কন্টিনিউ না করতো, তাহলে হয়তোবা বিভিন্ন জায়গায় ঘুরাঘুরি করে হয়রানি হতেন। এছাড়াও সমস্যাটা থেকে যাওয়ার ভয়ও ছিল। আল্লাহর রহমতে তা আর হয়নি!
হাবিবুর রহমান ভাইয়ের জন্য সবাই দোয়া করবেন। উনি ধৈর্য ধরেছেন, আল্লাহ উনাকে সমস্যা থেকে মুক্ত করেছেন। আল্লাহ উনাকে আরো ভাল রাখুক।
– ইমন চৌধুরী
ভিশন ফিজিওথেরাপি সেন্টার।